“The Tiger King” – Bengali Summary (বাংলা সারাংশ):
গল্পের সারাংশ:
এই গল্পটি একটি ব্যঙ্গাত্মক কাহিনি যা প্রতিপত্তিশালী শাসকদের অহংকার এবং নির্বুদ্ধিতার সমালোচনা করে। গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র প্রতিবন্ধপুরম রাজ্যের মহারাজা, যিনি ‘টাইগার কিং’ নামে পরিচিত।
যখন রাজা জন্মগ্রহণ করেন, জ্যোতিষীরা ভবিষ্যদ্বাণী করেন যে তিনি বীরপুরুষ হবেন, তবে তাঁর মৃত্যু একদিন একটি বাঘের মাধ্যমে হবে। দশ দিনের শিশু রাজা জ্যোতিষীদের কথা শুনে অবাক করে দিয়ে কথা বলে ওঠেন এবং বলেন, “বাঘরা সাবধান থাক!” তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন একশটি বাঘ হত্যা করবেন যাতে ভবিষ্যদ্বাণী মিথ্যা প্রমাণিত হয়।
তিনি একের পর এক বাঘ হত্যা করতে থাকেন এবং শুধু তিনি ছাড়া আর কেউ যেন বাঘ হত্যা না করে, তা নিশ্চিত করেন। একসময় তিনি একটি ব্রিটিশ কর্মকর্তাকে বাঘ শিকার করতে না দিয়ে বিপদের মুখোমুখি হন, কিন্তু এক গহনার দোকান থেকে দামি আংটি কিনে তাঁর স্ত্রীকে উপহার দিয়ে রাজ্য বাঁচিয়ে নেন।
প্রথম ৯৯টি বাঘ হত্যার পর আর বাঘ না পেয়ে তিনি এমন রাজ্যের রাজকন্যাকে বিয়ে করেন যেখানে বাঘের সংখ্যা বেশি। তিনি শ্বশুরবাড়ি গিয়েও বাঘ মারেন এবং মোট ৯৯টি বাঘ হত্যা করেন।
শেষ বাঘটি খুঁজে না পেয়ে রাজা হতাশ হয়ে পড়েন। তখন দেওয়ান সাহেব একটি বয়স্ক সার্কাসের বাঘ এনে জঙ্গলে ছেড়ে দেন। রাজা বাঘটিকে গুলি করেন, কিন্তু গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। শিকারিরা ভয়ে বাঘটিকে গোপনে মেরে ফেলে এবং রাজাকে জানানো হয় যে বাঘটি মারা গেছে।
অবশেষে রাজা তাঁর ছেলের জন্মদিনে একটি কাঠের বাঘ উপহার হিসেবে কিনে খেলতে খেলতে হাত কেটে ফেলেন। সেই ক্ষত থেকে ইনফেকশন হয়ে অস্ত্রোপচারে মৃত্যু হয় তাঁর। এভাবেই শততম "বাঘ" – একটি কাঠের বাঘ – তাঁর প্রতিশোধ নেয়।
মূল বক্তব্য:
গল্পটি ক্ষমতাবানদের গর্ব, নির্বুদ্ধিতা এবং পশুদের প্রতি মানুষের নিষ্ঠুরতার ব্যঙ্গাত্মক চিত্র তুলে ধরে। এটি নাটকীয় বিদ্রূপের (dramatic irony) মাধ্যমে বুঝিয়ে দেয় যে ভবিষ্যদ্বাণী এড়াতে গিয়ে রাজা কীভাবে অবশেষে নিজের নিয়তির শিকার হন।